স্বাধীনতাত্তোর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অবস্থিত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা অফিস সমন্বয়ে কার্যালয়ের সংখ্যা হয় ৬ (ছয়)টি । ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (আইসিএও) এর গাইডলাইন এর সাথে সঙ্গতি রেখে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। সেই সাথে ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপিত হলে অফিসের সংখ্যা হয় ৩৪ (চৌত্রিশ)টি। ২০১১ সালে আরো ৩৩ (তেত্রিশ) টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপিত হয়। এর একটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, লালমনিরহাট। ০৩/১২/২০১৪ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমান সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হেচ্ছে জেলায় জেলায় পাসপোর্ট অফিস স্থাপন। এর মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবার মান অনেক সহজ, নিরাপদ হয়রানিমুক্ত হয়েছে।বর্তমানে এই অফিসের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলার ০৫ (পাঁচ) টি থানার জনগণের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সেবা প্রদান করা হচ্ছে।৩০ জুন ২০১৯ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত এই অফিসের মাধ্যমে ২১১৭৫ টি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২২জানুয়ারী বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি সম্মেলনে ই-পাসপোর্ট বিতরণের জন্য সেটা উদ্বোধন করেছিলেন।দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে। অন্যদিকে, এ পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ। বর্তমানে ই পাসপোর্ট চালু হওয়ায় সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লালমনিরহাটও তাদের পাসপোর্ট সেবার মান সহজিকরন করেছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS